মুক্তির সনদ
CHARTER OF SALVATION
দল পরিচালনার নির্দেশিকা (গঠনতন্ত্র)
বাংলাদেশ কংগ্রেস
BANGLADESH CONGRESS
বাংলাদেশ কংগ্রেস গঠনতন্ত্র
মুক্তির সনদ
অনুচ্ছেদ ১- নাম :
অত্র সংগঠন বাংলা ও ইংরেজী উভয় অভিধায় ‘‘বাংলাদেশ কংগ্রেস (Bangladesh Congress) সংক্ষেপে কংগ্রেস (Congress) ” নামে অভিহিত হইবে।
অনুচ্ছেদ ২- শব্দার্থ ও সংজ্ঞা :
ক) ‘বাংলাদেশ’ বলিতে ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে বুঝাইবে যাহা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করিয়া ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে যাহার রাজধানী ঢাকা।
খ) ‘কংগ্রেস’ (Congress) শব্দের অর্থ মহাসভা, মহাসম্মেলন, মহাসমাবেশ বা আলোচনা সভা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভাকে কংগ্রেস বলে এবং সেখানকার আইনসভার সদস্যদেরকে কংগ্রেসম্যান (Congress-man/woman) বলা হয়। ভারত, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রভৃতি দেশে ‘কংগ্রেস’ নামে রাজনৈতিক দল আছে। ১৮৮৫ সালে ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস’ জন্ম লাভ করে। ‘আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস’ জন্ম লাভ করে ১৯১৩ সালে। ‘বাংলাদেশ জাতীয় কংগ্রেস’ নামে বাম ধারার একটি রাজনৈতিক দল ১৯৭৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলেও পরবর্তীতে দলটির অস্তিত্ব আর লক্ষ্য করা যায়নি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ‘বাংলাদেশ কংগ্রেস’ জন্ম লাভ করে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ।
গ) ‘জাতীয়তাবোধ’ বলিতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে বুঝাইবে যাহা এই দেশের সকল ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, সংষ্কৃতি, ঐতিহ্য, প্রথা ও আচার-ব্যবহারকে অন্তর্ভূক্ত করে।
ঘ) ‘স্বাধীনতা’ বলিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বুঝাইবে যাহা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত। এই স্বাধীনতা অনুসারে বাংলাদেশের জনগণ সর্বপ্রকার বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রনমুক্ত হইয়া আইনানুগভাবে জীবন যাপন করিবে।
ঙ) ‘সার্বভৌমত্ব’ বলিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে বুঝাইবে যাহার দ্বারা রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ সর্ব প্রকার আভ্যন্তরীণ ও বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রনমুক্ত এবং আদেশ দেওয়ার সর্বোচ্চ ও চরম পার্থিব ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
চ) ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ বলিতে এমন একটি চেতনাকে বুঝাইবে যাহা দ্বারা সবার মতামত ও অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং একক বা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির কোন সিদ্ধান্তকে বৃহৎ জনগোষ্ঠির উপর চাপাইয়া দেওয়া হয় না।
ছ) ‘সমাজ’ বলিতে বাংলাদেশ ভূখন্ডের সমাজকে বুঝাইবে যেখানে রহিয়াছে (১) পারিবারিক অনুশাসন ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, (২) বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী ও উপজাতিদের বসবাস এবং (৩) নিজস্ব শিল্পকলা, ক্রীড়া, সঙ্গীত ও সাহিত্যের ভান্ডার ও চর্চা।
জ) ‘ন্যায় ভিত্তিক সমাজ’ বলিতে এমন সমাজ ব্যবস্থাকে বুঝাইবে যেখানে প্রতিটি নাগরিক (১) ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে নৈতিক, মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ করে, (২) নিজের ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার করে এবং অন্যের অধিকার ছেড়ে দেয় এবং (৩) সমাজকে সবার বসবাসের উপযোগী করতে অবদান রাখে ও প্রয়োজনে আত্মত্যাগ করে।
ঝ) ‘প্রাকৃতিক গণতন্ত্র’ বলিতে এক ধরণের জীবন বিধান এবং সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বুঝাইবে যাহা প্রাকৃতিক পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং যেখানে প্রতিটি মানুষ প্রকৃতিপ্রদত্ত অধিকার ও মর্যাদা ভোগ করিয়া বাঁচিয়া থাকিবার নির্বিঘ্ন পরিবেশ পায়। প্রাকৃতিক সহনশীল শ্রেণীবৈষম্য থাকিলেও সেখানে প্রতিটি মানুষ দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিয়া সম্পদবৃদ্ধিসহ সিদ্ধান্ত গ্রহন ও বিশ্বাস চর্চায় ব্যক্তি স্বাধীনতা ভোগ করিবে। পাশ্চাত্য বা মনুষ্যপ্রদত্ত জীবন বিধানের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল না হইয়া প্রকৃতি থেকে শিক্ষা গ্রহন করিয়া জীবনকে মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ করিতে হইবে। মানুষের দৈহিক ও মানষিক সকল বিষয় প্রকৃতির সকল জড় ও জীবের সাথে কোন না কোনভাবে মিলে যায়। মানব জীবনকে সার্থক করিতে যত গুণের চর্চা লাগে সবই প্রাকৃতিক বস্তুর মাঝে নিহিত রহিয়াছে। প্রকৃতি থেকে শিক্ষা নিয়া ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনকে সুচারুরূপে পরিচালনা করিতে হইবে।
ঞ) ‘রাষ্ট্র’ বলিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে বুঝাইবে যাহা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করিয়াছে।
ট) ‘স্বনির্ভর রাষ্ট্র’ বলিতে এমন রাষ্ট্রকে বুঝাইবে যাহার নাগরিকরা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদনসহ মৌলিক চাহিদাসমুহ পুরণের জন্য অন্য রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল নহে।
ঠ) ‘দল’ বলিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের দ্বারা গঠিত যে কোন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনকে বুঝাইবে।
ড) ‘মত’ বলিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের স্ব স্ব বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি ও আদর্শকে বুঝাইবে।
ঢ) ‘ধর্ম’ বলিতে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, শিখসহ বাংলাদেশে প্রচলিত ধর্মসমুহকে বুঝাইবে।
ণ) ‘বর্ণ’ বলিতে বিভিন্ন ধর্মে বিভাজিত শ্রেণী, সম্প্রদায় বা উপদলকে বুঝাইবে।
ত) ‘জাতি’ বলিতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের সব নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত জনগোষ্ঠিকে বুঝাইবে।
থ) ‘উপজাতি’ বলিতে বাংলাদেশ ভূখন্ডে বসবাসরত সকল ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠিকে বুঝাইবে যাহারা ভাষা ও সংষ্কৃতির ভিত্তিতে বৃহত্তম জনগোষ্ঠি থেকে ভিন্ন।
দ) ‘নেতৃত্ব’ বলিতে কৃতিত্বপূর্ণ কর্ম ও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট গণতান্ত্রিক নেতৃত্বকে বুঝাইবে যাহা সেনাবাহিনী, পরিবারতন্ত্র বা দূর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে হঠাৎ সৃষ্ট নয়।
ধ) ‘নাগরিক’ বলিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের বুঝাইবে।
ন) ‘মৌলিক অধিকার’ বলিতে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদনসহ মানুষের প্রাকৃতিক চাহিদাসমুহ ভোগ করিবার অধিকারকে বুঝাইবে।
প) ‘সাংবিধানিক অধিকার’ বলিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে প্রদত্ত অধিকারসমুহকে বুঝাইবে।
ফ) ‘কাউন্সিলর’ বলিতে জাতীয় কর্ম পরিষদের সদস্যদেরকে বুঝাইবে।
অনুচ্ছেদ ৩- মূলনীতি :
(ক) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা: সুখী, সমৃদ্ধ, শৃংখলাবদ্ধ ও সকল প্রকার বৈষম্যহীন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের যে মহান লক্ষ্য নিয়া মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিহাসের সকল ব্যর্থতাকে অভিজ্ঞতায় নিয়া কাজ করিতে হইবে।
(খ) দেশপ্রেম: সমাজের প্রতিটি স্তরে দেশপ্রেমের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করা হইবে। রাজনীতি হইবে দেশের স্বার্থে, ব্যক্তির স্বার্থে নয়- এই বিশ্বাসকে ধারণ করিয়া সর্বক্ষেত্রে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হইবে। ঐতিহাসিক যে কোন বিতর্কিত ও অনুৎপাদণশীল বিষয় পরিহার করিয়া শুধুমাত্র দেশ ও সমাজের উন্নয়নমূলক উৎপাদণশীল ও সৃজনশীল চিন্তা ও কর্মের চর্চা করিতে হইবে।
(গ) সততা : ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও পেশাগত জীবনের সর্বক্ষেত্রে সততা ও নৈতিক মূল্যবোধ চর্চা করিতে হইবে।
(ঘ) মানবতা: ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষ এবং সৃষ্টি জগতের প্রতিটি জীব ও জড় বস্তুকে ভালবাসতে হবে।
(ঙ) পরমতসহিষ্ণুতা: সকল প্রকার সহিংস ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী পরিহার করিতে হইবে এবং অন্য দল বা মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিতে হইবে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শত্রু মনে করা যাইবে না এবং অন্যের মতাদর্শ প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাইবে না।
(চ) গণতন্ত্র: প্রকৃতির ছোট-বড়, উচু-নীচু, পরোপকারিতা, ধৈর্যশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা, বিপদ, সৌন্দর্য ইত্যাদি ধারণা গ্রহন করে সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক পন্থায় সব ধরণের আন্দোলন করিতে হইবে। সকল প্রকার ধ্বংসাত্মক ও নাগরিকদের জন্য কষ্টদায়ক কর্মসূচী পরিহার করিতে হইবে। আইন বা নিয়ম লঙ্ঘন করিয়া এবং কাহারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা জোরপূর্বক বা অনৈতিক উপায়ে কোন কিছু অর্জন করিবার মানষিকতা পোষণ করা যাইবে না।
(ছ) ধর্মীয় স্বাধীনতা: আন্দোলনে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না এবং প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিতে হইবে। যে কোন ধর্মের অনুসারী অত্র সংগঠনের সদস্য হইতে পারিবেন এবং স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চা করিতে পারিবেন।
অনুচ্ছেদ ৪- কার্যালয় :
অত্র সংগঠনের প্রধান কার্যালয় হইবে ঢাকায়। বাংলাদেশ বা বহির্বিশ্বের যে কোন স্থানে এই সংগঠনের শাখা কার্যালয় স্থাপন করিয়া সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করা যাইবে।
অনুচ্ছেদ ৫- সদস্য :
ক) অন্তর্ভূক্তি: বাংলাদেশের যে কোন আইন মান্যকারী নাগরিক নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে নির্ধারিত নিবন্ধন ফি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও এক কপি ছবি প্রদান করিয়া বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর সদস্য হইতে পারিবেন যদি –
(১) তিনি অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য না হন।
(২) তাহার বয়স আঠার বৎসর বা তদোর্ধ হয়।
(৩) তাহার বৈধ আয়ের উৎস থাকে অথবা তিনি শিক্ষার্থী হন।
খ) অবসান: আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান সাপেক্ষে জাতীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক যে কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল বা অথবা প্রত্যাহার করা যাইবে যদি-
(১) তিনি স্বেচ্ছায় সদস্যপদ প্রত্যাহার চান, অথবা
(২) তিনি ব্যক্তিগত মামলায় তিন বৎসরাধিক কাল কারাগারে থাকেন, অথবা
(৩) তিনি গঠনতন্ত্র বিরোধী বা অনৈতিক কোন কর্মে জড়িত হন।
গ) সদস্যদেরকে নিন্মোক্তভাবে শ্রেণী বিভাগ করা হইবে-
(১) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (Founder Member) : ২০১৩ সালের ৪ মার্চ বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার দিন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার ভবনের ৪২৫ নং কক্ষে যারা উপস্থিত ছিলেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ কংগ্রেসের নিবন্ধিত সদস্য হিসাবে রহিয়াছেন তাহারা অর্থাৎ সর্বজনাব মোঃ ইয়ারুল ইসলাম, কাজী রেজাউল হোসেন ও সাইফুল সাইফ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে বিবেচিত হইবেন।
(২) অগ্রগামী সদস্য (Pioneer Member) : সদস্যদের জ্যেষ্ঠতা, আর্থিক অবদান, সদস্য সংগ্রহ, সময়দান, আচরণ, সততা, কর্মদক্ষতা প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা করিয়া প্রতি বছর জানুয়ারী মাসে বিগত এক বছরের কর্মকান্ডের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কমিটি কর্তৃক ‘অগ্রগামী সদস্য’ ঘোষনা করা হইবে। এই ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হইবে দলীয় সদস্যপদ লাভের সময় হইতে এবং সদস্য হিসাবে নিবন্ধন এক বছর অতিক্রম না করিলে তাহাকে অগ্রগামী সদস্য হিসাবে ঘোষনা করা যাইবে না। কমিটির সদস্যপদ ও নির্বাচনে মনোনয়ন লাভের ক্ষেত্রে অগ্রগামী সদস্যদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে।
অনুচ্ছেদ ৬- লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
ক) বাংলাদেশে একটি ন্যায় ও জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ এবং স্বনির্ভর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যেখানে দল, মত, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, উপজাতি নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক তাহাদের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারসমুহ ন্যায়সঙ্গতভাবে ভোগ করিবে।
খ) অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র চর্চা ও সুস্থ ধারার রাজনৈতিক সংষ্কৃতি গড়ে তোলা এবং রাজনীতিতে মেধাবী ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।
গ) গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা ও সমাধানের পন্থা উদ্ভাবন করা।
ঘ) আত্মশুদ্ধি ও পেশাগত উৎকর্ষকতা সাধনের মাধ্যমে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করা।
ঙ) ব্যক্তি ও সামষ্টিক জীবনে ধর্মীয় মূল্যবোধ, গণমূখী দেশীয় সংষ্কৃতি ও প্রাকৃতিক গণতন্ত্রের চর্চা করা।
অনুচ্ছেদ ৭- সাংগঠনিক কাঠামো :
ক) ন্যাশনাল সিনেট : সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী স্থায়ী পরিষদ। প্রতিষ্ঠাকালিন প্রধান উদ্যোক্তারা প্রথম সিনেটের সদস্য হইবেন। মহাসচিবের সহিত পরামর্শক্রমে চেয়ারম্যান যে কোন ব্যক্তিকে উহার সদস্যরূপে অন্তর্ভূক্ত বা অপসারণ করিতে পারিবেন। ইহার সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা একুশ জনের বেশী হইবে না। চেয়ারম্যানের পরামর্শে মহাসচিব সিনেটের সভা আহবানসহ যাবতীয় দাপ্তরিক কর্ম সম্পন্ন করিবেন। ন্যাশনাল সিনেটের সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত দলের সর্বক্ষেত্রে অবশ্য পালনীয় হইবে। চেয়ারম্যান সিনেটের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতি বা অপারগতায় উহার জ্যেষ্ঠতম সদস্য (দলীয় সদস্যপদ গ্রহনের তারিখ অনুসারে) উক্ত দায়িত্ব পালন করিবেন। মতামতের সমতার ক্ষেত্রে সভার সভাপতির অতিরিক্ত একটি ভোটিং ক্ষমতা থাকিবে। যে কোন জরুরী মুহুর্তে ন্যাশনাল সিনেটের সভা আহবান করা যাইবে।
খ) উপদেষ্টা পরিষদ: জাতীয় নির্বাহী কমিটিসহ দলের সকল অঙ্গ সংগঠন ও অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমুহকে যাবতীয় বিষয়ে পরামর্শ ও উপদেশ প্রদান করিয়া কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা প্রদান করিতে প্রত্যেক নির্বাহী কমিটির জন্য একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকিবে। প্রত্যেক উপদেষ্টা পরিষদের তিন বা ততোধিক বেজোড় সংখ্যক সদস্য থাকিবেন যাহাদের একজন প্রধান উপদেষ্টা ও একজন সমন্বয়কারী থাকিবেন। প্রতি তিন বৎসর পর উপদেষ্টা পরিষদসমুহ পূনর্গঠিত হইবে। উপদেষ্টা হইতে হইলে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করিতে হইবে।
গ) নির্বাচনী বোর্ড: জাতীয় সংসদ, সিটি কর্পোরেশন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচনের জন্য চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ন্যাশনাল সিনেটের সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টা পরিষদের জ্যেষ্ঠতম সদস্য, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের সমন্বয়ে নির্বাচনী বোর্ড গঠিত হইবে। অন্যান্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বিভাগওয়ারী নির্বাচনী বোর্ড গঠন করিবেন এবং ন্যাশনাল সিনেটের একজন সদস্যের নেতৃত্বে গঠিত উক্ত প্রত্যেক কমিটিতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক ছাড়াও একজন কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, একজন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সদস্য থাকিবেন। নির্বাচনী বোর্ডসমুহ প্রার্থী বাছাইসহ নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করিবে।
ঘ) সংসদীয় কমিটি : দল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে সংসদীয় কমিটি গঠিত হইবে। ন্যাশনাল সিনেটের সম্মতি সাপেক্ষে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের উপস্থিতিতে সংসদীয় কমিটির নেতা, উপ-নেতা, চীফ হুইপ ও অন্যান্য হুইপগণ মনোনীত হইবেন।
ঙ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি : দলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে ‘কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি’ হিসাবে অভিহিত করা হইবে। ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে সমঝোতা বা নির্বাচনের মাধ্যমে উহার পদসমুহ পুরণ করিতে হইবে। তবে মহাসচিবের সহিত পরামর্শক্রমে চেয়ারম্যান যে কোন সময় যে কোন শুণ্য পদ পুরণ করিতে পারিবেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদকাল হইবে ত্রির্বাষিক কাউন্সিল থেকে পরবর্তী তিন বৎসর। শূণ্যপদে পুরণকৃত পদের মেয়াদ হইবে পরবর্তী ত্রির্বাষিক কাউন্সিল পর্যন্ত। কমিটিতে ৩৩% নারী অন্তর্ভূক্তকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকিবে।
চ) আঞ্চলিক নির্বাহী কমিটিসমুহ : একজন আহবায়ক (প্রয়োজনে এক বা একাধিক যুগ্ম আহবায়কসহ) ও একজন সদস্যসচিবের নেতৃত্বে নিন্মরূপ আঞ্চলিক নির্বাহী কমিটিসমুহ গঠন করা যাইবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত কমিটি কাজ করিতে পারিবে। ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে সমঝোতা বা নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটির পদসমুহ পুরণ করিতে হইবে। তবে সাধারণ সম্পাদকের সহিত পরামর্শক্রমে সভাপতি যে কোন সময় যে কোন শুণ্য পদ পুরণ করিতে পারিবেন। নির্বাহী কমিটিসমুহের মেয়াদকাল হইবে ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল থেকে পরবর্তী তিন বৎসর। শূণ্যপদে পুরণকৃত পদের মেয়াদ হইবে পরবর্তী ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল পর্যন্ত। সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কমিটিতে ৩৩% নারী অন্তর্ভূক্তকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকিবে।
১) জেলা/মহানগর কমিটি: আহবায়ক- ১জন
সদস্য সচিব- ১জন
সদস্য- ১৯ জন
২) থানা কমিটি: আহবায়ক- ১জন
সদস্য সচিব- ১জন
সদস্য- ১৩ জন
৩) ইউনিয়ন/পৌরসভা কমিটি: আহবায়ক- ১জন
সদস্য সচিব- ১জন
সদস্য- ৯ জন
৪) ওয়ার্ড কমিটি: আহবায়ক- ১জন
সদস্য সচিব- ১জন
সদস্য- ৭ জন
৫) ইউনিট কমিটি: আহবায়ক- ১জন
সদস্য সচিব- ১জন
সদস্য- ৫ জন
ছ) পদ সমুহ :
(১) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি : প্রত্যেক জেলার প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক
চেয়ারম্যান – ১ জন
ভাইস-চেয়ারম্যান – ২ জন
মহাসচিব – ১ জন
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব – ১ জন
যুগ্ম মহাসচিব – ২ জন
সম্পাদক- ২০ জন:
সাংগঠনিক সম্পাদক – ১ জন
অর্থ সম্পাদক – ১ জন
দপ্তর সম্পাদক – ১ জন
প্রচার, প্রকাশনা ও সংষ্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
কৃষি, খাদ্য ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
গৃহায়ণ, জ¦ালানী ও নগর বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
মুক্তিযুদ্ধ ও নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
যোগাযোগ ও বন্দর বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
বন, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সমাজ সেবা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
ধর্ম ও উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন (মুসলিম)
ছাত্র, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-সম্পাদক- ২৭ জন:
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক – ৮ জন (প্রতি বিভাগ-১)
সহ-অর্থ সম্পাদক – ১ জন
সহ- দপ্তর সম্পাদক – ১ জন
সহ- প্রচার, প্রকাশনা ও সংষ্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-কৃষি, খাদ্য ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-গৃহায়ণ, জ¦ালানী ও নগর বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ- মুক্তিযুদ্ধ ও নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-যোগাযোগ ও বন্দর বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-বন, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ- সমাজ সেবা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ- বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ- ধর্ম ও উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন (হিন্দু/বৌদ্ধ/খৃষ্টান/উপজাতি)
সহ- ছাত্র, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
নির্বাহী সদস্য- ১৭ জন
সর্বমোট- ৭+২০+২৭+১৭ = ৭১ জন
(২) জেলা/মহানগর কমিটি: প্রত্যেক থানার প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক
সভাপতি – ১ জন
সহ-সভাপতি – ২ জন
সাধারণ সম্পাদক – ১ জন
যুগ্ম সম্পাদক – ২ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক – ১ জন
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক – ২ জন
কোষাধ্যক্ষ – ১ জন
সহ-কোষাধ্যক্ষ – ১ জন
দপ্তর সম্পাদক – ১ জন
সহ-দপ্তর সম্পাদক – ১ জন
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক – ১ জন
সহ- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক – ১ জন
কৃষি ও খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-কৃষি ও খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
যোগাযোগ ও নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-যোগাযোগ ও নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ- শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
আইন ও বিচার বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
সহ-আইন ও বিচার বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
সমাজ সেবা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-সমাজ সেবা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
যুব, ক্রীড়া ও সংষ্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-যুব, ক্রীড়া ও সংষ্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
নির্বাহী সদস্য- ২৫ জন (নারী-২/ প্রতি থানা-১)
সর্বমোট- ৩৫+১০ = ৪৫ জন।
(৩) থানা কমিটি: প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক
সভাপতি – ১ জন
সহ-সভাপতি – ২ জন
সাধারণ সম্পাদক – ১ জন
যুগ্ম সম্পাদক – ১ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক – ১ জন
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক – ১ জন
অর্থ সম্পাদক – ১ জন
সহ-অর্থ সম্পাদক – ১ জন
দপ্তর সম্পাদক – ১ জন
সহ-দপ্তর সম্পাদক – ১ জন
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক – ১ জন
সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক – ১ জন
কৃষি ও খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
যোগাযোগ ও নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
আইন বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
নির্বাহী সদস্য – ৭ জন (নারী-১/ প্রতি ইউনিয়ন-১)
সর্বমোট- ৫+২২+৭ = ৩৫ জন।
(৪) ইউনিয়ন/পৌরসভা কমিটি:
সভাপতি – ১ জন
সহ-সভাপতি – ১ জন
সাধারণ সম্পাদক – ১ জন
যুগ্ম সম্পাদক – ১ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক – ১ জন
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক – ১ জন
কোষাধ্যক্ষ – ১ জন
সহ-কোষাধ্যক্ষ – ১ জন
দপ্তর সম্পাদক – ১ জন
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক – ১ জন
সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক – ১ জন
কৃষি ও খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-কৃষি ও খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সমাজ কল্যাণ সম্পাদক – ১ জন
সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক – ১ জন
আইন বিষয়ক সম্পাদক- ১ জন
যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সহ-যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
নির্বাহী সদস্য- ১১ জন (নারী-১/ প্রতি ওয়ার্ড-১)
সর্বমোট- ৪+১৯+৫ = ২৫ জন।
(৪) ওয়ার্ড কমিটি:
সভাপতি – ১ জন
সহ-সভাপতি – ১ জন
সাধারণ সম্পাদক – ১ জন
যুগ্ম-সম্পাদক – ১ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক – ১ জন
অর্থ সম্পাদক – ১ জন
দপ্তর সম্পাদক – ১ জন
প্রচার সম্পাদক – ১ জন
কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
সমাজ কল্যাণ সম্পাদক – ১ জন
যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
নির্বাহী সদস্য- ৩ জন (নারী-১/ প্রতি গ্রাম বা মহল্লা-১)
সর্বমোট- ১২+৩ = ১৫ জন।
(৫) ইউনিট কমিটি:
সভাপতি – ১ জন
সাধারণ সম্পাদক – ১ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক – ১ জন
অর্থ সম্পাদক – ১ জন
দপ্তর সম্পাদক – ১ জন
প্রচার সম্পাদক – ১ জন
নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক – ১ জন
নির্বাহী সদস্য- ২ জন (নারী-১/ প্রতি পাড়া-১)
সর্বমোট- ৭+২= ৯ জন।
জ) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের যোগ্যতা, দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা :
চেয়ারম্যান- চেয়ারম্যান দলের প্রধান নির্বাহী এবং দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমুহের প্রধান উপদেষ্টা। মহাসচিবের সহিত পরামর্শক্রমে চেয়ারম্যান দলের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ এবং সর্বস্তরের কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করিবেন। চল্লিশ বছর বয়সের নীচে ও পচাত্তর বৎসর বয়সের উর্ধ্বে কোন ব্যক্তি দলের চেয়ারম্যান হইতে পারিবেন না। ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে জাতীয় কর্ম পরিষদ কর্তৃক সমঝোতা বা নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি নির্বাচিত হইবেন। মেয়াদশেষে একই প্রক্রিয়ায় তিনি পূনঃনির্বাচিত হইতে পারিবেন। ন্যাশনাল সিনেট কর্তৃক প্রার্থীতা অনুমোদন সাপেক্ষে উহার (ন্যাশনাল সিনেট) যে কোন সদস্য চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে পারিবেন। ন্যাশনাল সিনেট ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে সংখ্যা গরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং মতামতের সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত একটি ভোটিং ক্ষমতা থাকিবে।
ভাইস-চেয়ারম্যান – চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যানগণ ক্রমিক নম্বর অনুসারে চেয়ারম্যানের কর্মসূচী ভিত্তিক দায়িত্ব পালন করিবেন, তবে কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করিতে পারিবেন না। ভাইস-চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত যে কোন সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান বাতিল করিতে পারিবেন। দলের প্রয়োজনে বা চেয়ারম্যানের নির্দেশে ভাইস-চেয়ারম্যানগণ যে কোন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকিবেন।
মহাসচিব- মহাসচিব দলের দাপ্তরিক প্রধান। চেয়ারম্যানের পরামর্শে তিনি দলের সকল কার্যাবলী সম্পাদনসহ বিভিন্ন প্রকার সভা আহবান করিবেন এবং সভার বিষয়াবলী নির্ধারণ ও পরিচালনা করিবেন। চল্লিশ বছর বয়সের নীচে ও পচাত্তর বৎসর বয়সের উর্ধ্বে কোন ব্যক্তি দলের মহাসচিব হইতে পারিবেন না। ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে জাতীয় কর্ম পরিষদ কর্তৃক সমঝোতা বা নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি নির্বাচিত হইবেন। মেয়াদশেষে একই প্রক্রিয়ায় তিনি পূনঃনির্বাচিত হইতে পারিবেন। ন্যাশনাল সিনেট কর্তৃক প্রার্থীতা অনুমোদনসাপেক্ষে উহার (ন্যাশনাল সিনেট) যে কোন সদস্য মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে পারিবেন। কর্মবর্ষশেষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি সংগঠনের বার্ষিক কর্মকান্ড প্রতিবেদন আকারে পেশ করিবেন। তিনি সম্পাদকগণকে তাহাদের বিভাগীয় কার্যাবলী সম্পাদন করিবার উপদেশ ও অনুরোধ জ্ঞাপন করিবেন। দলের সকল প্রকার আয়-ব্যয় তাহার মাধ্যমে সম্পন্ন হইবে। কার্যনির্বাহী কমিটির প্রত্যেক সভায় পূর্ববর্তী সভার পরে সম্পাদিত আয়-ব্যয়ের হিসাব তিনি কোষাধ্যক্ষকে দাখিল করিতে অনুরোধ করিবেন।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব: মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন। সংগঠনের প্রয়োজনে বা মহাসচিবের পরামর্শে তিনি যে কোন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকিবেন।
যুগ্ম মহাসচিব: মহাসচিব বা সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে যুগ্ম মহাসচিবগণ ক্রমিক নম্বর অনুসারে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন। সংগঠনের প্রয়োজনে বা মহাসচিবের পরামর্শে যুগ্ম মহাসচিবগণ যে কোন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকিবেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক: দলের সার্বিক উন্নয়ন; কর্মপরিকল্পনা গ্রহন; সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি; দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন; বিভিন্ন কমিটি গঠন এবং নেতা-কর্মীদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় সাধন করা।
অর্থ সম্পাদক : দলের তহবিল সংরক্ষণ; অর্থ আদায় ও ব্যাংক হিসাবসহ অন্যান্য হিসাব সংরক্ষণ; বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে দলের আর্থিক প্রতিবেদন তৈরী; প্রবৃদ্ধি অর্জন, ব্যাংকিং, মুদ্রা, ঋণ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা প্রভৃতির উন্নয়ন সাধনকল্পে করণীয় নির্ধারণ করা; আর্থিক খাতে দূর্নীতি পর্যবেক্ষণ করা; সরকার ঘোষিত বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা পূর্বক প্রতিক্রিয়া জানানো; আর্থিক বিষয়ে বিরাজমান আইন ও বিধিসমুহ পর্যালোচনা করা ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা।
দপ্তর সম্পাদক : দপ্তর সম্পাদক সংগঠনের সদস্য তালিকা; সভার কার্যবিবরণী লেখাসহ যাবতীয় দ্রব্যাদি ও কাগজপত্র সংরক্ষণ করাসহ দাপ্তরিক সকল কার্য পরিচালনা করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমুহ পালনে সংশি¬ষ্ট সম্পাদককে অবহিতকরণ করা।
প্রচার, প্রকাশনা ও সংষ্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক : দলের মতাদর্শ ও সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা; তথ্য ও প্রচার সংশ্লিষ্ট বিরাজমান আইন ও বিধিসমুহ পর্যালোচনা করা এবং প্রয়োজনীয় সংষ্কারে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা; সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশ্লিষ্ট খাতে বিরাজমান দুর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; সংশ্লিষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন; সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা; আন্তর্জাতিক মানের সংবাদ সংস্থা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা; দলের নিজস্ব গোয়েন্দাবাহিনী গড়ে তুলে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ ও পদক্ষেপ গ্রহন করা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরা-খবর পর্যালোচনা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সংবাদ দলকে অবগত করা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশনা সক্রান্ত যাবতীয় কর্মকান্ড সম্পন্ন করা; এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংগঠনের করণীয় নির্ধারণ করা।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক : আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমুহ পালনের উদ্যোগ গ্রহন, কূটনৈতিক মহল ও প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন; দলের বৈদেশিক কর্মসূচী নির্ধারণ, কমিটি গঠন ও পর্যবেক্ষণ; বৈদেশিক বাণিজ্য ও সরকারের বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে দলের করণীয় নির্ধারণ; সময়োপযোগী বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করা; আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লংঘন পর্যবেক্ষণ ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দুর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা এবং সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা।
কৃষি, খাদ্য ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক: কৃষি পণ্যের উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাত ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা; কৃষিপণ্য আমদানী-রপ্তানী, বাজার নিয়ন্ত্রন প্রভৃতি পর্যবেক্ষন; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে দূর্নীতি পর্যবেক্ষণ করা এবং বিরাজমান আইন ও বিধিসমুহ পর্যালোচনা করা; দেশের কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কৃষি কাজে শিক্ষিত জনগোষ্ঠির অংশ গ্রহণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে বিরাজমান দুর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ নিরূপন করা এবং সমস্যাসমুহ নিরসনের পন্থা উদ্ভাবন করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা এবং সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালাসমুহ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা ও প্রয়োজনীয় সংষ্কারে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা।
শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক : শিল্প ও বাণিজ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ; সংশ্লিষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা এবং বাজেট বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষন করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে দূর্নীতি পর্যবেক্ষণ করা; সংশি¬ষ্ট বিষয়ে বিরাজমান আইন ও বিধিসমুহ পর্যালোচনা করা এবং প্রয়োজনীয় সংষ্কারের ব্যাপারে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দুর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালাসমুহ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা ও প্রয়োজনীয় সংষ্কারে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা; নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন; আভ্যন্তরীণ শিল্পচুক্তিসমুহ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন; দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সকল আন্তর্জাতিক শিল্পচুক্তিসমুহ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন।
গৃহায়ণ, জ¦ালানী ও নগর উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক : বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানীসহ সব ধরণের খনিজ সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ করা; বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সেবা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দূর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালাসমুহ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা ও প্রয়োজনীয় সংষ্কারে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা; প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও পরিবারকে সহনীয় মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা; গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির উপায় নির্ধারণ করে সুপারিশমালা নিরুপন করা; গ্যাসের মূল্য নির্ধারণে মজুত ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণপূর্বক সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুপারিশমালা নিরুপণ করা; শহর ও গ্রামীণ জীবনের সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা এবং সমাধানের পন্থা বের করা; শহরমুখী প্রবণতা রোধকল্পে গ্রামীণ জীবনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে করণীয় নির্ধারণ করা; সবার জন্য পরিকল্পিত আবাসন সুবিধা নিশ্চিতকল্পে করণীয় নির্ধারণ।
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক : শিক্ষা ব্যবস্থার সংষ্কার ও মানোন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ; শিক্ষা খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা এবং বার্ষিক বাজেট বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষন করা; শিক্ষা খাতে নিয়োগ, বদলি ও সেবা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে বিরাজমান আইন ও বিধিসমুহ পর্যালোচনা এবং সংষ্কারে প্রস্তাবনা তৈরী করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দূর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন; শিক্ষার অবকাঠামো ও পরিবেশগত উন্নয়নের প্রস্তাবনা তৈরী করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা; শিক্ষা সংক্রান্ত আইনসমুহ পর্যালোচনা ও সংষ্কারের প্রস্তাবনা তৈরী করা; প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ, মাদ্রাসা, কারিগরী ও গণশিক্ষার পদ্ধতি, পরিবেশ ও পাঠ্যপুস্তকসমুহ পর্যালোচনা ও সংষ্কারের প্রস্তাবনা তৈরী করা; বেসরকারী শিক্ষার পদ্ধতি, পরিবেশ ও পাঠ্যপুস্তকসমুহ পর্যালোচনা ও সংষ্কারের প্রস্তাবনা তৈরী করা এবং বৈদেশিক শিক্ষার পদ্ধতি, পরিবেশ ও পাঠ্যপুস্তকসমুহ পর্যালোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংষ্কারের প্রস্তাবনা তৈরী করা এবং বিদেশগামী বা প্রবাসী শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা উন্নয়নে প্রস্তাবনা তৈরী করা।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক: চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ; চিকিৎসা ও চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে বিরাজমান অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও অনিয়মসমুহ চিহ্নিত করা এবং রোধে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবার অবকাঠামো ও উপকরণাদি নিশ্চিতকরণের প্রস্তাবনা তৈরী করা; ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় এবং জেলা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা প্রদানের যাবতীয় পরিকল্পনা প্রনয়ণ করা; চিকিৎসা সেবায় বিদেশগামীতা রোধ ও বিদেশীদের বাংলাদেশের চিকিৎসা গ্রহনে আকৃষ্ট করতে পরিকল্পনা করা; চিকিৎসা শিক্ষার পদ্ধতি, পরিবেশ ও পাঠ্যপুস্তকসমুহ পর্যালোচনা ও সংষ্কারের প্রস্তাবনা তৈরী করা; স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আইনসমুহ পর্যালোচনা ও সংষ্কারের প্রস্তাবনা তৈরী করা এবং প্রায়োগিক দিক পর্যবেক্ষণ করা; চিকিৎসা সেবার পদ্ধতি, পরিবেশ ও অবকাঠামোসমুহ পর্যবেক্ষণপূর্বক সার্বিক উন্নয়নের প্রস্তাবনা তৈরী করা; আন্তর্জাতিক মানের ঔষধ ও চিকিৎসা উপকরণ প্রস্তুত, সংরক্ষণ, প্রয়োগ, পরিবেশন, বাজারজাত, রপ্তানী, আমদানী ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও উন্নত ব্যবস্থাপনার প্রস্তাবনা তৈরী করা এবং সরকারী ও বেসরকারী চিকিৎসা কেন্দ্রের পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সুপারিশমালা তৈরী করা।
যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক: বাংলাদেশের সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান পরিবহন ব্যবস্থার সংষ্কার ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখা; বিরাজমান অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতিসমুহ চিহ্নিত করা ও রোধে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলিতে যানযট নিরোসন ও যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালাসমুহ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা ও প্রয়োজনীয় সংষ্কারে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা; চালকসহ পরিবহনকর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণে ও সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখা এবং সকল প্রকার যানবাহনে যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখা।
শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক: সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দূর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা; শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখা; শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠন পরিচালনা করা; বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সাথে সমন্বয় সাধন করা; শ্রম ও মজুরী ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ; শ্রমিকদের স্বল্প খরচে বা বিনা খরচে আইন সহায়তা প্রদান; শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও অসন্তোষ রোধে করণীয় নির্ধারণ; শ্রমের বৈদেশিক বাজার পর্যবেক্ষন, বিদেশে শ্রমিক প্রেরণ ও তত্বাবধানে ভূমিকা রাখা; দূর্যোগের শিকার শ্রমিকদের সহায়তা, অধিকার আদায় ও পূনর্বাসনে ভূমিকা রাখা; সারাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ কারখানাসমুহের তালিকা প্রণয়ন করা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহনে ভূমিকা রাখা; শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগকে সহায়তা ও উৎসাহ প্রদান; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে বিরাজমান আইন, বিধি ও নীতিমালাসমুহ সংষ্কার ও বাস্তবায়নে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা; শ্রমিকদের কর্মস্থলের পরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা; নারী শ্রমিকদের জন্য ডে কেয়ার, বিশেষ ছুটিসহ বিশেষ সুবিধা নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখা; শ্রমের বৈদেশিক বাজার পর্যবেক্ষন, বিদেশে শ্রমিক প্রেরণ ও তত্বাবধানে ভূমিকা রাখা এবং সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সম্পাদক : আইন ও বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইন লংঘন রোধ ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা; অসহায় ও দুস্থদের বিনা বা স্বল্পমূল্যে আইন সহায়তা প্রদান; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কারাগার ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ, সংষ্কার ও মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখা; আইন প্রণয়ণ, আইন শিক্ষা, আইন পেশা, বিচারক নিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রসমুহ পর্যবেক্ষণ, সংষ্কার ও মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দূর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা; আইন শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে পরিকল্পনা গ্রহন করা এবং সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা।
বন, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক: পরিবেশ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বনায়ন, জলবায়ূ পরিবর্তন বা প্রকৃতিতে নেতিবাচক পরিবর্তন প্রভৃতি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ; পাখী, বন্য প্রাণী ও কীট-পতঙ্গ ও বন রক্ষায় ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দূর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা এবং সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালাসমুহ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা ও প্রয়োজনীয় সংষ্কারে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা।
সমাজ সেবা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক: ঝড়, জলোচ্ছ্রাস, বন্যা, ভূমিকম্প, ধস, আগুন, শৈত্যপ্রবাহ, নিন্মচাপ, ক্ষরা, মঙ্গা প্রভৃতি রোধে করণীয় নির্ধারণ; সারাদেশের ঝুকিপূর্ণ ভবন ও স্থানসমুহের তালিকা প্রণয়ন করা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহনে ভূমিকা রাখা; দূর্যোগের কারণ নির্ণয় ও প্রতিকারে সুপারিশ করা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দূর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালাসমুহ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা ও প্রয়োজনীয় সংষ্কারে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা; সমাজ কল্যাণ বা জনসেবা মূলক কর্মসূচী গ্রহণ ও মানোন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ; সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তিকে সাহায্য প্রদান, জনসেবা বা উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহন প্রভৃতি ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবা প্রদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ; প্রতিবন্ধিদের সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা এবং সমাধানের পন্থা বের করা; প্রতিবন্ধিদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ভূমিকা রাখা।
মুক্তিযুদ্ধ ও নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন ও সংরক্ষণ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা; ইতিহাস বিকৃতি রোধ ও সঠিক ইতিহাস চর্চায় ভূমিকা রাখা; ঐতিহাসিক নিদর্শনসমুহ রক্ষা ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দূর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা এবং সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালাসমুহ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা ও প্রয়োজনীয় সংষ্কারে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যাসমুহ নির্ণয় ও দূরীকরণে করণীয় নির্ধারণ করা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দূর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা এবং সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালাসমুহ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা ও প্রয়োজনীয় সংষ্কারে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা।
ধর্ম ও উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক: ধর্মীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা, ধর্ম চর্চার সুযোগ তৈরী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির স্বার্থরক্ষা ও উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ করা; পারষ্পারিক ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে ধর্মীয় শ্রেণীগত বৈষম্য সৃষ্টিকারী বিতর্কসমুহ পরিহারপূর্বক স্ব স্ব বিশ্বাস অনুসারে সর্বোত্তম পন্থায় ধর্ম চর্চার পথ তৈরীতে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধর্মের অপব্যবহার ও অপব্যাখ্যা রোধপূর্বক শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহনে ধর্মীয় বিধানসমুহের প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা; আইনের সাথে ধমীয় বিধানের সামঞ্জস্য বিধান করা; প্রযুক্তিনির্ভর, কুসষ্কার ও বিদআতমুক্ত নিরাপদ মুসলিম জাতি গঠনে ভূমিকা রাখা; ইসলাম ধর্মের নামে সকল প্রকার ভন্ডামী ও অনৈতিক ব্যবসা বন্ধ করতে ভূমিকা রাখা; ইসলামের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ রোধ করতে ভুমিকা রাখা; হিন্দুদের সংখ্যা, অবস্থান, সং®কৃতি, ইতিহাস, সমস্যা ও সমাধানের উপায় সম্পর্কে দলীয় দপ্তরকে অবগত করা; বৌদ্ধদের সংখ্যা, অবস্থান, ধর্ম, সং®কৃতি, ইতিহাস, সমস্যা ও সমাধানের উপায় সম্পর্কে দলীয় দপ্তরকে অবগত করা; খৃষ্টানদের সংখ্যা, অবস্থান, ধর্ম, সং®কৃতি, ইতিহাস, সমস্যা ও সমাধানের উপায় সম্পর্কে দলীয় দপ্তরকে অবগত করা এবং উপজাতিদের সংখ্যা, অবস্থান, ধর্ম, সং®কৃতি, ইতিহাস, সমস্যা ও সমাধানের উপায় সম্পর্কে দলীয় দপ্তরকে অবগত করা।
যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক: যুব সমাজকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে, যুব সমাজের চরিত্র গঠন, দেশপ্রেম, স্বেচ্ছাশ্রম, নৈতিক, মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সংরক্ষন, অবক্ষয় রোধ, বেকারত্ব দূরীকরণ, চাকরি ছাড়াও কৃষি, ব্যবসা, খামার করিয়া স্বাবলম্বী হওয়া, শরীর চর্চা, ক্রীড়া ও ক্রীড়া ব্যবস্থার মানোন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দূর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা এবং সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালাসমুহ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা ও প্রয়োজনীয় সংষ্কারে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা।
নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক: নারী ও শিশুদের অধিকার, আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অশি¬লতা ও পাচার রোধ প্রভৃতি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থাসমুহের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অসংগতি দুরীকরণে ভূমিকা রাখা; সংশি¬ষ্ট খাতে বিরাজমান দূর্নীতিসহ সমস্যাসমুহ চিহ্নিতকরণ ও নিরোসনে প্রস্তাবনা তৈরী করা; সংশি¬ষ্ট খাতে সরকারের বার্ষিক বাজেট পর্যালোচনা এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা; অত্র খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা; সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা এবং সংশি¬ষ্ট ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালাসমুহ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা ও প্রয়োজনীয় সংষ্কারে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা।
নির্বাহী সদস্য: নির্বাহী সদস্যরা কার্যনির্বাহী কমিটির যে কোন সদস্যের সমমর্যাদায় প্রত্যেক সভায় অংশ গ্রহন করিতে পারিবেন, মতামত প্রদান করিতে পারিবেন বা কোন শূণ্য পদে ক্রমিক নম্বর অনুসারে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন।
ঝ) মূখপাত্র (Mouthpiece): ন্যাশনাল সিনেট চেয়ারম্যান ব্যতিরেকে ইহার যে কোন সদস্যকে দলের মূখপাত্র হিসাবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে নির্ধারণ করিতে পারিবে।
ঞ) উপ-কমিটি :
বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি সম্পন্নের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবে। উপ-কমিটিতে কার্যনির্বাহী কমিটির বাইরের সদস্যদেরও রাখা যাইবে তবে আহবায়ক ও সদস্য সচিব অবশ্যই কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে হইবেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোন উপ-কমিটিতে থাকিবেন না তবে পদাধিকারবলে তাহারা সকল উপ-কমিটির সদস্য হিসাবে বিবেচিত হইবেন। উপ-কমিটি হইবে নিন্মরূপ:
আহবায়ক – ১ জন
সদস্য সচিব – ১ জন
সদস্য – ৫/৭/৯ জন
ঠ) নির্বাহী কমিটির নির্বাচন: সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাহী কমিটিসমুহ গঠনে ব্যর্থ হইলে নির্বাচনের মাধ্যমে পদসমুহ পূরণ করিতে হইবে। নির্বাহী কমিটিসমুহের মেয়াদ শেষান্তের পূর্বে ত্রির্বাষিক সাধারণ সভার মাধ্যমে উহা সম্পন্ন করিতে হইবে। কাউন্সিলরদের গোপন ভোটের মাধ্যমে নির্বাহী কমিটিসমুহ গঠনকল্পে স্ব স্ব ক্ষেত্রে একজন কমিশনার ও দুইজন সদস্য সম্বলিত একটি “নির্বাচন কমিশন” গঠন করিতে হইবে। মনোনীত বা নির্বাচিত হইতে ইচ্ছুক কোন সদস্য উক্ত কমিটিতে থাকিতে পারিবেন না। নির্বাহী কমিটির কোন পদে মনোনীত বা নির্বাচিত হইতে ইচ্ছুক সদস্যরা ত্রির্বাষিক সাধারণ সভার সাত দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন বরাবর মনোনয়নপত্র জমা দিবেন। প্রাপ্ত নামের তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন বা নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাহী কমিটি গঠন করিবেন। নির্বাহী কমিটিসমুহের মেয়াদ হইবে তিন বৎসর। পচাত্তর বৎসরের বেশী বয়সের কোন সদস্য নির্বাহী কমিটির কোন পদে থাকিতে পারিবেন না, তবে উক্ত বয়সে উপনীত হওয়ার পূর্বে তিনি কোন নির্বাহী কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হইলে কমিটির নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন।
অনুচ্ছেদ ১০- দফাসমুহ :
(১) রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করা।
(২) বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাখা।
(৩) ইউনিয়ন পর্যায়ে থেকে প্রশাসনিক স্তর বিন্যাস ও সার্বিক বিকেন্দ্রীকরণ।
(৪) কৃষি ও শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব দূরীকরণ।
(৫) সবার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানী, উন্নত যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযু্িক্ত সেবা নিশ্চিত করা।
(৬) ইউনিয়ন পর্যায়ে জাতীয় মানের শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা।
(৭) জনপ্রতিনিধিদের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণে ‘জবাবদিহি কমিশন’ গঠন।
অনুচ্ছেদ ১১- নির্বাহী কমিটির পদ শূণ্য হওয়া :
ক) মৃত্যু, পদত্যাগ, অপসারণ ইত্যাদি কারণে ন্যাশনাল সিনেট, উপদেষ্টা পরিষদ, কার্যনির্বাহী কমিটি বা উপ-কমিটির কোন পদ শূণ্য হইতে পারে।
খ) কোন সদস্য যুক্তি সঙ্গত কারণ ব্যতীত যদি পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন, অথবা অনৈতিক, দেশ ও জনস্বার্থ বা গঠনতন্ত্র বিরোধী কোন কার্যে জড়িত থাকেন, তাহা হইলে কার্য নির্বাহী কমিটির সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতি সাপেক্ষে উক্ত কমিটি থেকে তাহাকে সাময়িকভাবে অপসারণ করা যাইবে, তবে স্থায়ীভাবে অপসারণ বা প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলের ক্ষেত্রে তাহাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।
গ) শূণ্য পদ পূরণ করিতে হইলে সংশ্লিষ্ট কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতির প্রয়োজন হইবে। পূরণকৃত পদের মেয়াদ হইবে সংশি¬ষ্ট কমিটির মেয়াদ পর্যন্ত।
ঘ) উপদেষ্টা বা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা চেয়ারম্যানের কাছে এবং চেয়ারম্যান দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস-চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র প্রদান করিতে পারিবেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উক্ত পদত্যাগপত্র উপস্থাপন করতঃ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উক্ত পদত্যাগপত্র গ্রহন বা প্রত্যাখ্যান করা যাইবে।
অনুচ্ছেদ ১২- অনাস্থা জ্ঞাপন :
ক) উপদেষ্টা বা কার্যনির্বাহী কমিটির কোন কর্মকর্তা বা সদস্যের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহী কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনায়ন করিতে পারিবেন এবং কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় উহা গৃহীত হইলে তাহা চুড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে, তবে সেইক্ষেত্রে আত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রাখিতে হইবে।
খ) কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকিলে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরসহ যে কোন সদস্য জ্যেষ্টতম উপদেষ্টা অথবা তাহার অপারগতায় পরবর্তী জ্যেষ্টতম উপদেষ্টার নিকট অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করিতে পারিবেন। অতঃপর উক্ত উপদেষ্টা প্রস্তাব পাওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের উপস্থিতিতে সাধারণ সভা আহবান করিবেন। উক্ত সভায় উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করা যাইবে। অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হইলে অভিযুক্ত কমিটি বাতিল হইয়া যাইবে এবং একই সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে পনের সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করিতে হইবে। উক্ত আহবায়ক কমিটি পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে পূণঃনির্বাচনের ব্যবস্থা করিবে এবং সংগঠনের জরুরী কার্যাবলী দেখাশুনা ও পরিচালনা করিবেন। নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ হইবে বিলুপ্ত কমিটির স্বাভাবিক মেয়াদ পর্যন্ত।
অনুচ্ছেদ ১৩- সভাসমুহ :
ক) ত্রিবার্ষিক জাতীয় কাউন্সিল: অনুমোদিত সকল কার্য নির্বাহী কমিটি এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় কমিটিসমুহের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমুহের পরিচালকবৃন্দ, সংসদীয় দলের সদস্যবৃন্দ ও ন্যাশনাল সিনেটের সদস্যদের অংশ গ্রহনে প্রতি তিন বছর পর পর কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হইবে। কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র সংশোধন, জাতীয় নীতি নির্ধারণ, মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদকের প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন ইত্যাদি কার্য সম্পাদিত হইবে।
খ) ত্রিবার্ষিক আঞ্চলিক কাউন্সিল: জেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে প্রতি তিন বছর পর পর কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হইবে। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যবৃন্দসহ নিম্নবর্তী সকল পর্যায়ের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং সর্বনিম্নস্তরের কাউন্সিলের ক্ষেত্রে উক্ত পর্যায়ের সকল সাধারণ সদস্য অংশ গ্রহন করিবেন। প্রত্যেক পর্যায়ের কাউন্সিলে উচ্চতর সকল পর্যায়ের কমিটির এক বা একাধিক সদস্য কমিটি প্রধান কর্তৃক প্রেরিত হইবেন। উক্ত কাউন্সিলে সংশ্লিষ্ট সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কমিটি গঠন ও কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন ইত্যাদি কার্য সম্পাদিত হইবে।
গ) বার্ষিক কার্যনির্বাহী সভা : কর্মবর্ষের বিভিন্ন কর্মকান্ড পর্যালোচনা, আর্থিক হিসাব-নিকাশ, আগামী পরিকল্পনা গ্রহন ইত্যাদি পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনা নিয়া প্রত্যেক পর্যায়ের কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক বার্ষিক কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হইবে। বার্ষিক কার্যনির্বাহী সভা যে মাসে অনুষ্ঠিত হইবে সে মাসে ষাম্মাসিক, ত্রৈমাসিক বা মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হইবে না, তবে অন্য কোন প্রয়োজনীয় সভা করা যাইবে।
ঘ) ষান্মাসিক কার্যনির্বাহী সভা : ছয়মাসের কর্মকান্ডের পর্যালোচনা, আর্থিক হিসাব-নিকাশ, আগামী পরিকল্পনা গ্রহন ইত্যাদি পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনা নিয়া প্রত্যেক পর্যায়ের কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক ষাম্মাসিক কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হইবে। ষাম্মাসিক কার্যনির্বাহী সভা যে মাসে অনুষ্ঠিত হইবে সে মাসে ত্রৈমাসিক বা মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হইবে না, তবে অন্য কোন প্রয়োজনীয় সভা করা যাইবে।
ঙ) ত্রৈয়মাসিক কার্যনির্বাহী সভা : তিন মাসের কর্মকান্ডের পর্যালোচনা, আর্থিক হিসাব-নিকাশ, আগামী পরিকল্পনা গ্রহন ইত্যাদি পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনা নিয়া প্রত্যেক পর্যায়ের কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক ত্রৈয়মাসিক কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হইবে। ত্রৈয়মাসিক কার্যনির্বাহী সভা যে মাসে অনুষ্ঠিত হইবে সে মাসে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হইবে না, তবে অন্য কোন প্রয়োজনীয় সভা করা যাইবে।
চ) মাসিক কার্যনির্বাহী সভা : এক মাসের কর্মকান্ডের পর্যালোচনা, আর্থিক হিসাব-নিকাশ, আগামী পরিকল্পনা গ্রহন ইত্যাদি পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনা নিয়া প্রত্যেক পর্যায়ের কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক মাসিক কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
ছ) জরুরি/বিশেষ/তলবী সভা : কোন জরুরী বা বিশেষ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য প্রয়োজন হইলে যে কোন ধরণের জরুরী, বিশেষ বা তলবী সভা আহবান করা যাইবে। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতি বা অপারগতায় সভাপতি এই ধরণের সভা আহবান করিতে পারিবেন।
জ) মূলতবি সভা : দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজনে অথবা সভায় কোরাম সংকট দেখা দিলে যে কোন সভা মূলতুবি রাখিয়া উক্ত সভাস্থলে ঘোষণা প্রদান সাপেক্ষে পরবর্তীতে মূলতুবি সভা করা যাইবে।
ঝ) কোরাম : সাধারণ সভায় মোট সদস্যের এক-চতুর্থাংশ এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এক-তৃতীয়াংশ উপস্থিত হইলে সভার কোরাম পুরণ হইয়াছে মর্মে ধরিয়া নেওয়া হইবে তবে মূলতবি সভায় কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
ঞ) সভার নোটিশ: সাধারণ সভা কমপক্ষে পনের দিন, কার্যনির্বাহী কমিটির সভা সাত দিন এবং জরুরী সভা/বিশেষ সভা চব্বিশ ঘন্টার নোটিশে আহবান করা যাইবে। মূলতবি সভার কোন নোটিশ প্রদানের প্রয়োজন হইবে না।
অনুচ্ছেদ ১৪- তহবিল :
ক) নিন্মেক্তভাবে অত্র সংগঠনের তহবিল সংগ্রহ ও গঠন হবে।
(১) সদস্যদের নিকট হইতে আদায়কৃত চাঁদা;
(২) এককালিন দান বা অনুদান;
(৩) কল্যাণমূলক কোন প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত অনুদান;
(৪) সরকার বা বিদেশী সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত সাহায্য ও অন্যান্য।
খ) রশিদ প্রদানের মাধ্যমে সকল প্রকার অর্থ গ্রহন করা হবে।
অনুচ্ছেদ ১৫- ব্যাংক হিসাব ও হিসাব-নিকাশ :
ক) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশের যে কোন তফসিলী ব্যাংক বা বহির্বিশ্বের যে কোন ব্যাংকে ‘বাংলাদেশ কংগ্রেস’-এর কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নির্বাহী কমিটিসমুহের নামে এক বা একাধিক চলতি, সঞ্চয়ী বা মেয়াদী হিসাব খোলা যাবে এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বা সংশ্লিষ্ট শাখা কমিটির যাবতীয় অর্থ উক্ত ব্যাংকসমুহে গচ্ছিত থাকবে ।
খ) বাংলাদেশ কংগ্রেসের নির্বাহী কমিটিসমুহ কর্তৃক পরিচালিত ব্যাংক হিসাবসমুহ চেয়ারম্যান/সভাপতি, মহাসচিব/সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ-এই তিন জনের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। তবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি যে কোন সময় হিসাব পরিচালনাকারীদের পদ পরিবর্তন করতে পারবে।
গ) প্রতি বছর ডিসেম্বর ও জুন মাসে ইউনিট কমিটিসমুহ সংশ্লিষ্ট গ্রাম/মহল্লা কমিটি বরাবর, গ্রাম/মহল্লা কমিটিসমুহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটি বরাবর, ওয়ার্ড কমিটিসমুহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কমিটি বরাবর, ইউনিয়ন কমিটিসমুহ সংশ্লিষ্ট থানা কমিটি বরাবর, থানা কমিটিসমুহ সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটি বরাবর এবং জেলা কমিটিসমুহ জাতীয় নির্বাহী কমিটি বরাবর বিগত ছয় মাসের যাবতীয় আর্থিক হিসাব প্রতিবেদন প্রেরণ করবে।
ঘ) বাংলাদেশের প্রচলিত অর্থ বছরকে (জুলাই-জুন) ‘বাংলাদেশ কংগ্রেস’-এর আর্থিক ও কর্ম বছর হিসেবে গণনা করা হবে এবং প্রতি অর্থ বছরে নিবন্ধিত কোন অডিট ফার্ম বা অডিটর কর্তৃক দলের আর্থিক প্রতিবেদন তৈরী করা হবে।
অনুচ্ছেদ ১৬- প্রতিষ্ঠাকাল, প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য :
ক) ইংরেজী দুই হাজার তের সালের মার্চ মাসের চার তারিখ ‘‘বাংলাদেশ কংগ্রেস”-এর প্রতিষ্ঠাকাল হিসাবে পরিগণিত হইবে এবং উক্ত তারিখ হইতে গঠনতন্ত্র চুড়ান্তকরণ পর্যন্ত যাহারা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালিন বিভিন্ন সভায় উপস্থিত থাকিয়া অদ্যাবধি নিয়মিতভাবে অত্র সংগঠনের সহিত সম্পৃক্ত রহিয়াছেন তাহারা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য হিসাবে বিবেচিত হইবেন।
অনুচ্ছেদ ১৭ – প্রতীক, লোগো, পতাকা, দলীয় সঙ্গীত ও শে¬াগান:
ক) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দলের নিবন্ধন প্রাপ্তির পর দলের নির্বাচনী প্রতীক চুড়ান্তকরণ হইবে।
খ) ‘‘বাংলাদেশ কংগ্রেস” লেখা এবং দলীয় প্রতীক ও পতাকা সম্বলিত দলের লোগো থাকিবে।
ঘ) দলের পতাকায় নীল, লাল ও সবুজ রঙের মধ্যে সাতটি তারকা থাকিবে যাহা সাতজন বীরশ্রেষ্ঠকে বোঝাইবে। সবুজ সম্ভাবনার প্রতীক; লাল মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের রক্তের প্রতীক এবং নীল অনুভবের প্রতীক যাহা দ্বারা উচ্চ মনন, ভক্তি, আনুগত্য, প্রশান্তি, বিশ^স্ততা, বিশালতা, সহিষ্ণুতা ও স্বপ্নকে বোঝাইবে।
ঙ) বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ’দূর্গম গীরি কান্তার মরু’ সঙ্গীতটির প্রথম দশ লাইন অত্র সংগঠনের দলীয় সঙ্গীত হিসাবে বিবেচিত হইবে।
ঙ) জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে যে কোন শ্লোগান ব্যবহার করা যাইবে।
অনুচ্ছেদ ১৮- গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ ও সংশোধন:
ক) প্রনয়ণ : প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ কর্তৃক একটি গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ কমিটি গঠিত হইবে। উক্ত কমিটি কর্তৃক গঠনতন্ত্র প্রণীত হওয়ার পর উহা প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের সম্মূখে উপস্থাপিত হইবে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের কমপক্ষে সাত জন সদস্যের সম্মতির মাধ্যমে উহা পাশ করিতে হইবে। উহার মূল কপির প্রতি পাতার পিছনে উক্ত সাত জন সদস্যের স্বাক্ষর থাকিবে। গঠনতন্ত্রের মুদ্রিত কপি নির্ধারিত মূল্যে যে কোন ব্যক্তি সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
খ) সংশোধন : সিনেট সদস্যদের তিন-চতুর্থাংশ ঐক্যমতের ভিত্তিতে অত্র গঠনতন্ত্রের যে কোন অনুচ্ছেদ বা উপ-অনুচ্ছেদ সংশোধন করা যাইবে। সংশোধিত গঠনতন্ত্রের মূলকপির প্রতি পাতার পিছনে উক্ত ন্যাশনাল সিনেট সদস্যদের স্বাক্ষর থাকিবে।